ফারদিন ফেরদৌস: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনো কোনোদিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেননি। ঐতিহাসিকভাবেই বিরোধিতা অভিযোগের এতটুকু প্রামাণ্য সত্যতা নেই। ফেসবুক প্রোপাগান্ডা আর কালের ইতিহাস কখনোই এক নয়। সর্বজনের সুশিক্ষা ও সুচিন্তা নিয়ে সারাজীবন কাজ করাটা মানুষটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবু তর্কের খাতিরে আপনাদের সুরে সুর মিলিয়ে ধরে নিই কবিগুরু এমনটা করেছেন এবং আপনারা তাকে আর সহ্য করতে পারছেন না। আচ্ছা বলেন তো, একাত্তরে যারা বাংলাদেশ বিরোধিতা করেছেন তাদের আপনারা কোলে করে রাখছেন না? মাথায় করে নাচছেন না? কোনটা বড়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি বাংলাদেশ?
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হন্তারক এবং হানাদার বাহিনীর দোসর বাংলাদেশ বিরোধী দালাল-কোলাবোরেটরদের আপনারা আত্মার আত্মীয় বানিয়ে রেখেছেন। পক্ষান্তরে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’- শুনলেই আপনাদের গা পিত্তি জ্বলে যায়। আর কতভাবে আপনাদের প্রতিক্রিয়াশীল পরিচয়টা জাহির করবেন? মহামতি লালন ফকির কোনোদিনই বলতেন না, রবিঠাকুর দূরের কথা, একটা পিপীলিকাও তার নখের যোগ্য না। মানুষ লালন ফকিরকে আপনারা চিনতে ভুল করবেন এটাই স্বাভাবিক। লেখক: সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :