নাদিম মাহমুদ: ধরুন, আপনি একটা বাসা ভাড়া নিতে চাচ্ছেন। ওই বাসার কী কী সুবিধা আছে তা জানার জন্য আপনাকে সেই বাসায় যেতে হবে, মালিকের সাথে কথা বলে বাসা ভাড়া ঠিক করতে হবে। যদিও আধুনিক সময়ে কিছু কিছু বাসা ভাড়া অনলাইনে হচ্ছে, ছবিও দেওয়া থাকে। আমেরিকা, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাসা ভাড়া পেতে হলে ওইসব অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করেই এগিয়ে যেতে হয়। সেই ওয়েবসাইটেই বাসার সবকিছু বর্ণনা দেওয়া থাকে। এখন বাংলাদেশ সরকার যদি এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেন, যেখানে ওই বাসার মালিকের জন্য সরকারিভাবে ইস্যূকৃত সনদপত্র, বাসার নকশা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সনদপত্র পাওয়ার সুযোগ করে দেন, তাহলে বিষয়টি কেমন হয়?
এই যে আগুন লাগার পর সরকারি দপ্তরগুলো যে ভবনগুলোর ছাড়পত্র নেই বলে ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়’ নিজেদের পাক-পবিত্র করে, ভবন ধসের পর বলে নকশা অনুযায়ী ভবন করেনি বা নকশায় ঠিক নেই, সেইসব অসুদপায়গুলো অন্তত বন্ধ হবে। দুইপক্ষের মিথ্যাচার বন্ধ হবে। দায়িত্বে অবহেলাটুকু বন্ধ হবে। বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে ভাড়াটিয়ারা জেনে নেবে সেই ভবনগুলো কবে তৈরি হয়েছে, নকশা অনুযায়ী বাসা ঠিকঠাক কি না, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না তা মুঠোফোনের পেয়ে যাবে। রেস্তোরায় খাবার খাওয়ার আগে জানবে, সেই রেস্তোরার ভবনটি ঝুকিমুক্ত কি না। শপিং করতে যাওয়ার আগে জানবে ওই ভবনে নীচে বিস্ফোরণের জন্য মরণফাঁদের কারখানা আছে কি না।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বাড়ান, সিটি কর্পোরেশনের দপ্তরগুলোকে কার্যকর করবার জন্য সরকার যেদিন এসব কাজ করতে পারবে, মনে রাখবেন সেইদিনেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ তকমা দেয়া সার্থক হবে। নতুবা সেকেলে অভিযোগে দায়িত্বশীলদের দায় এড়ানো বন্ধ হবে না, মানুষের মৃত্যুর পর গাফিলতির চিত্র একটার পর একটা চলতেই থাকবে। ফেসবুকে ২-৩-২৪ প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :