মাসুদ আলম: বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১১৬ ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দেওয়া দুই হাজার ২১৫ পাতার শ্বেতপত্র পরীক্ষা করতে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠিত হয়েছে।
দুদক সচিব বলেন, শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে কমিশনের নিকট উপস্থাপন করাই এই কমিটির দায়িত্ব। আলেমগণের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধানের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দুদকে পত্রের মাধ্যমে, ১০৬ হটলাইনে কলসহ বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত অভিযোগ করা যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির কোনো উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে এবং তা দুদক আইনের শিডিউলভুক্ত হলেই কেবল তা পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। এটিই দুদকে অভিযোগপ্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
দুদক সচিব বলেন, দুদকের গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটি একটি সংক্ষিপ্তসার কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে মাত্র। কমিটিকে কোনো অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বা দুদক থেকে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি। ধর্মীয় বক্তা বা আলেমদের আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধান সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম এ কমিটি শুরু করবে না।
এ ধরনের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেওয়া হয়নি। কমিটি কেবল শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। পরে কমিশন বিষয়বস্তু বিশদ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আশা করি এবিষয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার অবকাশ থাকবে না।
আপনার মতামত লিখুন :