খালিদ আহমেদ: ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বন্যার কারণে পদ্মা সেতু নিয়ে কোন উৎসব হচ্ছে না। সেতু উদ্বোধনে একটা অনুষ্ঠান হবে মাওয়া প্রান্তে। আর জাজিরা প্রান্তে একটা জনসভা হবে। সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর বিএনপি তাদের নয়াপল্টন অফিসে বসে বাগাড়ম্বর করছেন। বন্যার্তদের পাশে তারা দাঁড়ানি। তারা এখানে বসে ভাষণ দেন।
তিনি ’৯১ এর ঘুর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই সময় শুধু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ১০/১২ এয়ারক্রাফট বিমান ঝড়-জলোচ্ছাসে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। জাহাজ সরিয়ে না নেওয়ার কারণে কয়েকটি জাহাজ রাস্তায় উঠে এসেছি। ১০ নম্বর সিগনাল ছিল, তারপরও খালেদা জিয়ার সরকার পদক্ষেপ নেননি। বহু মনুষের মৃত্যু হয়েছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, ওই সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়া বলেছিলেন, যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত লোক মারা যাননি। আমি তার এই বক্তব্য সম্পর্কে কি বলব-'লজ্জিত'বলব না-কি 'বেহায়া' বলব বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য, দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন। অথচ বিএনপি বন্যার্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে এখানে বসে বাগাড়ম্বর করতেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা করোনাকালেও মানুষের পাশে দাঁড়ানি। করোনাকালেও আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করেছে, তারাই চান না পদ্মা সেতু উদ্বোধন হোক। এটা তাদের গাত্রদাহের কারণ। এটা তাদের জন্য, জ্বালা, যন্ত্রণা। এজন্য তারা চায় না পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হোক।
আপনার মতামত লিখুন :