জেরিন আহমেদ : প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন একটু দেশের দিকে নজর দিন। চাষি, খামারি ও প্রান্তিক জনগণের প্রতি নজর দিন। এরা আপনাকে বাঁচাবে। তা না হলে তাদের মতো আপনাকেও ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট ভোগ করতে হবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের দুর্দশা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়’ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ঐক্য পরিষদ।
পদ্মা সেতুর জাঁকজমক উদযাপন না করে প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি বলেন, দেশের ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে আর আপনি ছয় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ১০ লাখ মানুষের জনসমাবেশ করছেন এমন একটা সময়ে, যখন দেশের দুই কোটি পরিবার ঈদ করতে পারবে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্যা। তাতে আরো ৫০ লাখ মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
নীতিমালা না হলে সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে শিক্ষিত যুবসমাজকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর। বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর। আজকে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ পুষ্টি। যেটি জোগাড় করেছেন প্রান্তিক চাষিরা ও খামারিরা। এখানে বড়দের কোনো অবদান নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (অব.) বলেন, প্রান্তিক এসব খামারিকে বাঁচাতে আমাদের একটি মৌলিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এই দেশটাকে বড় পুঁজিবাদীদের হাতে তুলে দেব নাকি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হাতে দেব। দেশের বড় পুঁজিবাদীরা ছোটদের খেয়ে ফেলতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা জানে না, আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বড় ও ছোট একসঙ্গে বসবাস উপযোগী করে রেখেছেন। এর বাইরে গেলে ধ্বংস নেমে আসে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :