বিশ্বজিৎ দত্ত: [৩] শ্রম আদালতের রায় নিয়ে প্রফেসর ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ইউনূস সেন্টারের ওয়েব সাইট থেকে তুলে ধরা হলো।
[৪] তিনি বলেন, ‘আমি আমার সাধ্যমত বাংলাদেশের জনগণের সেবা করে যাব ও সামাজিক ব্যবসার আন্দোলনে কাজ করে যাব। আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢভাবে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী। আমি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক কন্ঠে কথা বলার আহ্বান জানাই।’
[৫] এনডিটিভি জানায়, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঢাকা শ্রম আদালতে কারাদণ্ড দেয়ার নিন্দা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি এটাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
[৬] ড. ইউনূসকে দোষী করে দণ্ডিত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিপর্যস্ত অবস্থার প্রতীক বলে বর্ণনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যেখানে কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে এবং সমালোচকদের অধিকার খর্ব করেছে।
[৭] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় এ নিন্দা ও মন্তব্য করেছে।
[৮] সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার ঢাকার শ্রম আদালত ৮৩ বছর বয়সী নোবেলজয়ী মোহাম্মদ ইউনূস ও তার তিন সহকর্মীকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতায় দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন
[৯] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতির বিচার সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আদালতে ‘শামুক’ অগ্রগতির একেবারে বিপরীত। শ্রমিক আইনের অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
বিডি/আইকে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :