শাহীন খন্দকার: [২] ঈদ যাত্রায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানী কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে হাজারো যাত্রী ছুটে চলেছেন নিজ গ্রামে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি ট্রেন প্লাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপচেপড়া যাত্রীদের ঢেউ। পুরুষ যাত্রীরা ট্রেন উঠতে পারলেও নারী ও শিশুরা ট্রেন উঠতে পারছেন না। আবার অনেকেই নির্দিষ্ট আসনে বসতে পারছেন না, বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ট্রেনের জানালা দিয়েও অনেককে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
[৩] তার উপরে ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে স্টার্টিং টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে বিনা টিকেটের যাত্রীরা হুড়মুড় করে ট্রেন উঠে পড়ছেন। ঠেলাঠেলিতে অনেকে আঘাত পাচ্ছেন, আবার অনেকের ব্যাগ ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনো ট্রেনের বগিতে তিল ধারণের জায়গা নেই, বাধ্য হয়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই বহু কষ্টে ছাদে উঠে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন। রেল পুলিশ ছাদের যাত্রীদের নামানোর চেষ্ঠা করলেও কোন কাজ হয়নি। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ছাদে চড়ে দূরদূরান্তে ঈদযাত্রা করছে।
[৪] অনেক বলছেন, টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু করার তো কিছু নেই, বাড়ি যেতেই হবে, স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারা এটুকু ঝুঁকি নিচ্ছেন। এদিকে ঈদের ছুটি শুরুর আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। কোনো কোনো ট্রেন ৩০-৩৫ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বড় কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় ছিল না।
[৫] কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারেন সে বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। আর ছাদে ঝুকি নিয়ে ট্রেন যাত্রার বিষয়ে রেল পুলিশ জানিয়েছে তারা বারে বারে মাইকিং করে সতর্ক করছেন যাতে ছাদে না ওঠেন, আর কেউ উঠলে তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
[৬] কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আমিনুর ইসলাম জানান, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে জামালপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়ায় যাত্রীরা খুশি হলেও ট্রেনের ভেতরে বসা যাত্রীদের নাভিশ্বাস বলে অভিযোগ করেছেন ঘরে ফেরা যাত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :