মাসুদ আলম: [২] ঈদের আগেই রাজধানীর ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিতরা দেখা দিয়েছে। ক্রেতারা তেলের খোঁজে বাজারে কিংবা পাড়া মহল্লার মুদি দোকানে ঘুরছেন । কিন্তু সেসব দোকানে তেল মিলছে না। ১০ দোকান ঘুরে কোনো একটিতে পাওয়া গেলেও সেখানে মিলছে শুধু ৫ লিটারের বোতল। সেটিও কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি।
[৩] খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মুদি দোকানি এখন দোকানে তেলই তুলছেন না।
[৪] ভাটারা নুরেরচালা হৃদয় জেনারেল স্টোরের মালিক একন মোল্লা বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোম্পানি গুলো তেলের অর্ডার নিচ্ছে না। কোনো ধরনের বোতলজাত তেল নেই। সয়াবিন কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বেড়ে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাম অয়েল কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
[৫] আমদানিকারক ও মিলারদের দাবি, লিটারপ্রতি ৫০ টাকা লোকসান দিয়ে তারা আর ব্যবসা করতে চান না। সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হলে বাড়াতে হবে তেলের দাম। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দামের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি। এছাড়া পাম তেল রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের বাজারেও দর সমন্বয় করতে হবে।
[৬] ভাটারা ঢালীবাড়ির বাসিন্দা সালেক ঢালী বলেন, দুই একটি দোকান ছাড়া কোথাও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও লিটার প্রতি ৫০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :