এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান ‘আমাদেরসময় ডটকম’কে জানান, কারা কর্তৃপক্ষ আসামি মামুনুল হককে আদালতে না পাঠানোয় ভার্চুয়ালি তাকে যুক্ত করে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
[৩] এ নিয়ে মামলাটিতে রাষ্ট্র পক্ষের ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষ হলো। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
[৪] মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, রাজনৈতিক কারণে মাওলানা মামুনুল হককে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকার পরও তাকে আদালতে হাজির করা হয় না।
[৫] তিনি আরও জানান, প্রায় ৪০টি মামলার আসামি মামুনুল হক। এগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণের মামলার বিচার সবচেয়ে এগিয়ে আছে। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে তিনটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ও ১০টির মতো চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর চার্জ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন। এ সকল মামলাগুলোর অধিকাংশই নাশকতার মামলা। তার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে কয়েকটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরাও আছেন।
[৬] জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর, ২০১২ইং রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে একটি বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে নাশকতার এ মামলাটি করেন বাস মালিক মাহবুবুর রহমান। তদন্তের পর ১৯ জুলাই ২০১৩, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামুনুল হকসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন- শিহাব, কালু, রাসেল ও জাকির।
[৭] বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় দায়ের করা মামলায় কারাগার থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ভার্চুয়ালি যুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
প্রতিনিধি/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :