শাহীন খন্দকার: দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় অর্থনীতি সচল রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ দেশের চাহিদা অনুপাতে প্রায়ই দেওয়া হয়েগেছে। দেশে ৯৫ ভাগ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। আর মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এসময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন,পৃথিবী জুড়েই করোনাভাইরাসে মানুষ সংক্রমিত হয়েছে, বাংলাদেশেও হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ভালো আছে ।
তিনি বলেন, আমাদের করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের স্বাস্থ্যের্য অবস্থাও ভালো আছে,আমরা চাই আমাদের ভালো অবস্থানটি বজায় থাকুক। আমাদের শিক্ষা চালু হয়েছে গেছে, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা , এক্সপোর্ট ইর্ম্পোট ভালো আছে, সব কিছুই ভালো আছে। তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য ভালো আছে বলেই মানুষের সস্থ্যি আছে,এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
বুধবার (১৫জুন) বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনিস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন চিকিৎসক নার্স এর পরিশ্রমেই সফল হয়। সারাদেশে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপ্সুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন। শিশু হাসপাতালে “ভিটামিন এ প্লাস” ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপ্সুল প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে । জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বছরে দুইবার ক্যাম্পেইন করি।
ভিটামিন এ ক্যাপ্সুলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষাসহ শিশুর অনেক রোগ থেকে রক্ষা পায় এক কথায় রোগপ্রতিরোধে কাজ করে। তিনি আরো বলেন, শিশুকে ভালো রাখতে হলে মাকেও ভালো রাখতে হবে কারণ শিশু মায়ের বুকের দুধ ৬ মাস পর্যন্ত পেয়ে থাকে।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সারা দেশে ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৩ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের (দুই লাখ আই.ইউ) ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
তিনি জানান, দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে এই ক্যাম্পেইন চলছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে ইপিআই আউট রিচ সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি), উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতালের ইপিআই কেন্দ্র ও মেডিকেল কলেজে কেন্দ্র ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :