শিরোনাম
◈ ‘ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না’ ◈ বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সবাইকে ধরা হবে, কিছু হয়েছে, ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান ◈ মারা গেছেন নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী ◈ সারজিসসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের প্রচার, যা জানা গেল ◈ নির্বাচন নিয়ে ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব সারজিসের (ভিডিও) ◈ জয়বঞ্চিত ম্যানচেস্টার সিটি, হার এড়ালো লিভারপুল ◈ সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রধান যে পাঁচটি সুপারিশ থাকছে ◈ জাতীয় পার্টির সঙ্গে কথা বলা যৌক্তিক মনে করছি না: উপদেষ্টা মাহফুজ (ভিডিও) ◈ বিএনপি বলছে সম্ভব, জামায়াত বলছে না

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:২৯ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৯:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থপাচার মামলায় এনু ও রুপনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড, ৫২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড 

এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলায় ছয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

[৩] খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, মো. মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলু চন্দ্র দেব এদের মধ্যে মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলু চন্দ্র দেব পলাতক।

[৪] আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আমির হোসেন ‘আমাদের সময় ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

[৫] বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন- ‘যারা দুর্নীতিবাজ, মানিলন্ডার তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না। তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে এবং আমাদের স্বপ্ন চুরি করছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা। এটা সত্য এদেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে। তবে আমাদের উচিত তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা’।

[৬] উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাদের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তিন জনকে অব্যাহতি দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

[৭] ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ওয়ারী থানায় অর্থ পাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়