মাহাবুব খান: [২] বাংলাদেশ থেকে এবছর ১০ হাজার শ্রমিক নেয়ার কথা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার। অক্টোবর পর্যন্ত ৪১৫১ শ্রমিক কোরিয়া গিয়েছে। বছরের শেষ দু’মাসে আরও এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক কোরিয়া গেলেও বরাদ্দের কোটার অর্ধেকের মত পূরণ করতে পারবে বাংলাদেশে। [দ্যা ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস]
[৩] বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়েন্টমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে মূলত কোরিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি হয়। এবছর শ্রমিক রপ্তানির কোটা পূরণ না হলে আগামীতেও এর প্রভাব থাকবে বলে জানায় বোয়েসেল কর্মকর্তারা।
[৪] দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবছর আগের বছরের কোটা ও শ্রমিকদের কাজের মূল্যায়ন করে পরবর্তী কোটা নির্ধারণ করে থাকে।
[৫] বোয়েসেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ইউরোপে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে কোরিয়া। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কোরিয়ান পণ্যের চাহিদা ইউরোপে কমে যাওয়ায় শ্রমিক চাহিদাও দেশটির কমেছে।’
[৬] জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান; শুধু যুদ্ধের কারণে নয়। বাংলাদেশের শ্রমিকরা দক্ষতা ও ভাষাগত কারণে অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণেও কোরিয়া যাবার সুযোগ হারায়।
[৭] তাদের মতে কোরিয়ান ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৪০ পেলে পাস। বাংলাদেশের শ্রমিকরা গড়ে ৭০-৮০ নম্বর তুলতে পারে। পাশাপাশি পরীক্ষায় ভাল করলেও পরবর্তীতে সাবলীলভাবে তারা কথা বলতে পারেনা।
[৮] ফলে অনেকেই কাজ ছেড়ে পালায়। এতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর নেতিবাচক ধারণা হচ্ছে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :