শিরোনাম
◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা ◈ মণিপুরের সহিংসতায় মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার বসাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২২, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২২, ০৫:৫৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে

ড. আব্দুর রাজ্জাক

আনিস তপন: মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। 

দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। এ বছর দেশে ভোজ্যতেল নিয়ে সংকট চলছে। অনেক বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এতে একদিকে ভোক্তাদের কষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। 

তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক। এজন্য কৃষকেরা এসব ফসল চাষ করতে চান না। তাছাড়া, ধানের উৎপাদনও কমাতে চায় না সরকার। সেজন্য, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে, আগামী ৩ বছরের মধ্যে চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে চাইছে সরকার। পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে সাফল্য এসছে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা অনেক কমানো সম্ভব হয়েছে। পেঁয়াজের মতো ভোজ্যতেলের উৎপাদনেও সফল হবো। 
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে সরিষা, তিল, বাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে  ৮ লাখ ৬০ হেক্টর জমিতে এ জাতীয় ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। যা ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে উন্নীত করা হবে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানে ১২ লাখ থেকে ২৯ লাখ টন। যা নির্ধারিত সময়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে বর্তমানে আবাদ করা টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪, ৯, বারি ১৪, ১৭ প্রভৃতি জাত ছড়িয়ে দেয়া হবে।

অনাবাদি চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা হবে। নতুন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষার চাষ করা হবে। এ বিন্যাসে প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই বিষয়গুলোকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও এসময় জানান কৃষিমন্ত্রী।

সভায় জানান হয়, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ। বাকী ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে তেল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা আর এবছর প্রথম ১০ মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়