সুজিৎ নন্দী: প্রায় শেষ হবার পথে ‘রমনা পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন’ প্রকল্পের কাজ। জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এখন শুধুমাত্র শিশু কর্ণারের কাজ চলছে। পার্কের কোন গাছ না কেটে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে এটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যেটুকুর কাজ আছে দ্রুতগতিতে চলছে। যারা নিয়মিত রমনা পার্কে আসেন, প্রকল্প শেষে তারা এসে নতুন এবং আধুনিক পার্ক দেখতে পারবেন।
শুরুতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। শর্তে ছিলো, প্রয়োজনে ব্যয় বাড়ানো হবে। কিন্তু ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। এই টাকায় প্রকল্পে কাজ শেষ হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা যায়। জানা যায়, টেন্ডারে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি থাকার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুশলী নির্মাণ সংস্থা বাস্তবায়ন করছে।
ইতোমধ্যে রাস্তা, বাউন্ডারি ঠিক রেখে, লেক বিশেষ ভাবে সংস্কার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই মধ্যে লেক, ব্রিজ, কালভাট কাজ শেষ হয়েছে। এখন রেলিং আর পাটাতন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্প অনুযায়ী রমনার লেক খনন করে দৈর্ঘ্য বেড়েছে। দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ নির্মাণ, লেকের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। লেকে সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা এবং ল্যান্ড স্কেপিং বনায়ন করা হয়েছে। লেক পাড়ে নির্মাণ হয়েছে উডেন ডেক, পানির ফোয়ারা, লেক আইল্যান্ড থাকবে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রকৌশলী মিটুন মিস্ত্রী প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
তবে নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বলেন, শতভাগ কাজ শেষ হলে রমনা পার্কের দৃশ্যে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। অত্যাধুনিক তিনটি গণশৌচাগার, উন্মুক্ত কফি কর্নার বসানো হয়েছে। শিশু কর্ণার খেলার আধুনিক সরঞ্জাম ও রাইড বসানো কাজ চলছে। পুরানো ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ফুটপাত সিরামিক ইটের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে কার্যাদেশের চুক্তি হয়। কিন্তু ডিজাইন মন্ত্রণালয়ে জমা থাকার কারণে কাজ শুরু হতে দেরি হয়। শুরুতে রাস্তা তৈরি হয়। প্রকল্পের সঙ্গে পরিবেশবাদীদের যুক্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :