শিরোনাম
◈ প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করতে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ ◈ বিপিএলে ফাইনালের টিকিট কে পাবে? খুলনা না চিটাগং, জানা যাবে আজ রাতে ◈ শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? ◈ বাসিন্দাদের সরিয়ে গাজার মালিকানা নিতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ঢাকায় বাড়ছে অপরাধ, জড়িতদের অধিকাংশ কিশোর ◈ যেকারনে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭৫ কি.মি. অংশে বেড়া নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়, জানাল ভারত ◈ ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ ◈ নয়াদিল্লির আদলে ঢাকায় মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ কমিশনের ◈ ১৫ বছর চাকরি করলেই পাওয়া যাবে পেনশন ◈ ট্রাম্পের 'সহায়তা স্থগিত', বাংলাদেশে মার্কিন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর সুযোগ

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৩, ০৭:৩৪ বিকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২৩, ০৭:৩৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জাতিসংঘের কাছে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ 

মাজহারুল মিচেল: [২] নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে ওআইসির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এ নিন্দা জানান।

[৩] শুক্রবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

[৪] আব্দুল মুহিতের উদ্ধৃতি দিযে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

[৫] এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।

[৬] তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা সহিংসতার জন্ম দিতে পারে। বিভিন্ন দেশে শান্তি ও নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করতে পারে।

[৭] এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত মুহিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা তুলে ধরেন, যারা ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষের স্বীকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

[৮] রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে ইসলামফোবিয়া, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক অবমাননাসহ সব ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ওআইসি সদস্যদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক এই জঘন্য ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

[৯] আন্তোনিও গুতেরেস ওআইসি প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ধর্মবিরোধী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টাকে জোরালোভাবে সমর্থন করতে তিনি তার অবস্থান থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এমএম/এসবি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়