দীপক চৌধুরী : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উইসিস পুরস্কার অর্জন সরকারের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের। এই স্বীকৃতি আরও ভালোভাবে কাজ করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুপ্রাণিত করবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) সদর দপ্তরের পোপভ সভাকক্ষে আইটিইউসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত উইসিস পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ শেষে এ কথা বলেন।
ডিজিটাল ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্তমর্যাদা সম্পন্ন এই পুরস্কার লাভ করে।
আইটিইউ'র মহাসচিব হাউলিন ঝাও ভূমিমন্ত্রীর হাতে উইসিস পুরস্কারের ট্রফি তুলে দেন। এ সময় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আজকের অবস্থানে আসার যাত্রা খুব সহজ ছিলনা। এক সময় বাংলাদেশের পুরো ভূমি সেবা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ আমরা ডিজিটাল ব্যবস্থার বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উইসিস ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, উইসিস পুরস্কার অর্জনে মানুষ ও দেশের কল্যাণে আরও বেশি করে কাজ করার জন্য আমাদের কাঁধে আরও দায়িত্ব চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, ৩ কোটি জমির তথ্য ইতোমধ্যে ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্বচ্ছভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেছেন। অন্তত ৫০ শতাংশ নাগরিকের হয়রানি কমেছে। ডিজিটাল ভূমি কর ব্যবস্থায় এই পর্যন্তআদায়কৃত ৯০ কোটি টাকার অধিক অর্থ রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১০ হাজারের বেশি গণকর্মচারীকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৪ শতাংশ হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত দেশের শতভাগ ভূমি মালিক অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের পর তাৎক্ষণিক ডিজিটাল দাখিলা দেওয়ার ব্যবস্থাটিও বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মতামত লিখুন :