শিরোনাম
◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা ◈ মণিপুরের সহিংসতায় মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার বসাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২২, ০২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ মে, ২০২২, ০৪:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক দশকেরও বেশি তিস্তা চুক্তি আটকে থাকাটা লজ্জার

ড. এ কে আব্দুল মোমেন

খালিদ আহমেদ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কেবল একটি বিবাদমান ইস্যু-তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি- অমীমাংসিত রয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই দুই দেশ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি ও ব্যবহার করছে। এসব অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যথেষ্ঠ দক্ষ ও পারদর্শী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটি জানান তিনি। চলতি সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে শুরু হয় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ নদীবিষয়ক কনফারেন্স। সেখানে নদীবিষয়ক ছিটমহল নিয়ে সাইড-লাইন বৈঠক চলাকালে মোমেন এমন মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাংসে হিমবাহ থেকে উৎপন্ন তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৪৭ সাল থেকেই তিস্তা নদীর অববাহিকায় ভারতের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকায় পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত প্রতিবেশী বাংলাদেশ।

২০১১ সালে নিজেদের ব্যবহারের জন্য ৪২.৫ শতাংশ রেখে তিস্তার ৩৭.৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে রাজি হয়েছিল ভারত। খরার মৌসুমে এই পানি ব্যবহারে অগ্রাধিকার পাবে ভাটির দেশ বাংলাদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতায় বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি এখনও।

এর পর আন্তঃসীমান্ত ও আন্তর্জাতিক এই নদীর পানি ব্যবহারে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

মোমেন আরও বলেন, বর্ষার মৌসুমী তিস্তার পানি ছেড়ে দেয়ার বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের আসাম রাজ্যে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। সেই সঙ্গে খরার মৌসুমে পানি না ছাড়ায় খরায় ভোগে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে চীনের ব্যাপক আগ্রহের মধ্যেই ঢাকা-নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।

জুন মাসে দুই পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক যৌথ পরামর্শক কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। এর মধ্যে দিয়ে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের পথ খুলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়