মাজহারুল মিচেল: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে এ বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রি সি বিধান অনুসারে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। ওই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে এই ঘোষণাটিকে দেখছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত নির্বাচন আয়োজিত হয়ে আসছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে ৪১.৫ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল দেশে, ২০২২ সালে তা কমে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে চরম দারিদ্র্য ২৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের একটি আন্তর্জাতিক রোল মডেল। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার কারণে এটি অর্জন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে কোনো সরকারের ক্ষমতায় থাকার নজির নেই। জনগণের ভোটের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে। আর এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক ইতিহাস তার রয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহারকেও আদর্শ করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে তার কাজ সম্পাদনের জন্য সজ্জিত রয়েছে। বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। সেই আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সেই বিবেচনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আয়োজনের জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার যেকোনো বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য সরকারি সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিবৃতির শেষে বলা হয়, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়নের অর্জনকে ধারণ করা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব বিষয়। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে তার পাশে রয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ দেয়া হয় ওই বিবৃতিতে। সম্পাদনা:রাশিদ
এমএম/আরআর/এএ
আপনার মতামত লিখুন :