মাজহার মিচেল: সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্পর্কিত আমেরিকান প্রোগ্রাম প্রকল্পের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল এফ. রুন্ডে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান। তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
মতবিনিময় সভায় আমেরিকান এই উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও তাদের অধিকারের প্রতিষ্ঠা হোক এটাই কামনা করে। কিন্তু মিয়ানমারে এখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সব সময় রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এসময় সাংবাদিকরা তাঁর কাছে বার্মা অ্যাক্ট কবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, নানান ধাপে বার্মা অ্যাক্ট বাস্তবায়ন হবে।
এর আগে কুতুপালংয়ের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, তার এলাকার স্থানীয় ৪০০ পরিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেড়ার ভেতর নানান ভোগান্তি কথা তুলে ধরেন এবং দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তাগিদ দেন।
প্রয়োজনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেইফ জোন স্থাপন করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সভায় আহবান জানান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্যে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :