জাফর খান: দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ফিলিপাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
গত সোমবার ম্যানিলার দুসিত থানি ম্যানিলা হোটেলে দুই দেশের নিজ নিজ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। ঢাকা পোস্ট
এসময় বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহীদ ও মা-বোনদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পরে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ফিলিপাইনের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথাও জানান।
এছাড়াও জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভে ফিলিপাইনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফারদিনান্দ মার্কোস সরকারের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ৩৫তম বৃহত্তম দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে একটি মধ্যমে আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক বিষয়ও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিভাগের সেক্রেটারি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এনরিকে মানালো। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশের সঙ্গে ফিলিপাইনের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
মানালো বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটনসহ নানা খাতে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে অফুরান সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি দুই দেশ পারষ্পরিক ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে একযোগে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জেকে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :