মনজুর এ আজিজ: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। এক্ষেত্রে গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি। তিনি বলেন, আগামীদিনের চাহিদা প্রাক্কলন করে পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চালালে অবশ্যই সাফল্য পাওয়া যাবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বুয়েটে হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জ্বালানি গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকেই সমাধান বের করতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কারিগরী সংস্থা হিসেবে হাইড্রোকার্বন ইউনিট তৈল ও গ্যাসের মজুদ ও সম্ভাব্য উৎস নিরূপন ও হালনাগাদকরণ, জ্বালানি সংক্রান্ত ডাটাবেস এর হালনাগাদকরণ ও সম্প্রসারণ, উৎপাদন বণ্টন চুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ চুক্তি বিষয়ে মতামত প্রদান, জ্বালানির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ, তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন এর পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা, জ্বালানি খাতের সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ করে। এসব খাতে সত্যিকারের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সাথে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমঝোতা গবেষণার ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, ভর্তুকি, সেচ, হাইড্রোজেন ফুয়েল, ফসিল ফুয়েল, নাবায়নযোগ্য জ্বালানি, এনার্জি ইকোনমিক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মেদি ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এমএএ/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :