জাফর খান: যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়। এসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী।
রোববার(২৬ মার্চ)সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। এসময় সমবেতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ঢাকা পোস্ট
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে।
হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহিদ ও দুই লাখ মা-বোনসহ যারা সম্মান হারিয়েছেন সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পরেই বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শুরু করেছিলেন সশস্ত্র সংগ্রাম। এমনকি বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন জাতির পিতা। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল বাঙালি জাতি। বিএনসি২৪ ডট কম
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে বাঙালিদের সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
এসময় সব ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও দেশের স্বাধীনতার বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধিসহ প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে হাইকমিশনার ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাউসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে এক ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন।
এদিকে পাকিস্তান ছাড়াও মালয়েশিয়া, কুয়েত ও কায়রোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। রোববার বাংলাদেশের দূতাবাসে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাসস
জেকে/এএ
আপনার মতামত লিখুন :