শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০৪:৪২ দুপুর
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ০৬:৫০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্রেতাশূন্য গরুর মাংসের বাজার

গরুর মাংসের বাজার

শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজার, শেখেরটেক ফুটপাত ও ধানমন্ডির  শুক্রবাদসহ মহাখালী কাচাঁবাজারে মাংসের দাম বেশী হওয়াতে ক্রেতা নেই বলে জানিয়েছেন, মাংস বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরু মাংস যতসামান্য বিক্রি হলেও খাসির ও  মুরগী ক্রেতা নেই বললেই চলে। যদিও ফার্মের মুরগীর ক্রেতা দু’চারজন আসছে।

[৩] কৃষি মার্কেট বাজারের রশিদ পাঠান জানান, ঈদের পরে এই প্রথম গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) থেকে একটি খাসি কাটলে বিক্রি করতে সারাদিন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুটি খাসি কাটা হয়েছে সকাল ১১ টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪ কেজি মাংস। বাপ-দাদার আমল থেকে মাংসের ব্যাবসার সাথে জড়িত স্বাধীনতার পর থেকে। তিনি বলেন, আমরা আটকে পড়া পাকিস্তানী থাকি বিহারী পট্টিতে। এই পেশাতে আছি । তিনি বলেন, যেভাবে আমাদের কেনা খাসি ,সেই ভাবেই বিক্রি। কিন্তু ক্রেতা নেই খাসির মাংসের গত দুই দিনধরে।

[৪] এদিকে মাংস ব্যাবসায়ি সফি সাগর খান বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে দুই-একটা গরুর মাংস এক বেলাতেই বিক্রি হয়ে যেত আগে। এখন সারাদিনে ছোট গরুর অর্ধেকই বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ এখন গরুর বা খাসির মাংস কেনে না। অতিরিক্ত দামের কারণে খাসির মাংস বিক্রি বলতে গেলে বন্ধই করে দিয়েছি।

[৫] শুক্রবার (২০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস  বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৯০০-৯৫০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। সোনালি, পাকিস্তানি ৩১০ এবং লেয়ার কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি।

[৬] তিনি আরও বলেন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, দোকানের বাজার, গরু কেনাসহ নানা খরচ দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে গেছে। ধানমন্ডি শুক্রবাদ বাজারে মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বছর আগেও খাসির মাংস বিক্রি হতো ৭০০-৭৫০ টাকায়। বর্তমানে ৯০০ -৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে, এক বছরে খাসির মাংসের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। 

[৭] বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ি সমিতির নাম প্রকাশে অইচ্ছুক নেতা বলেন, দাম বাঁড়ায় আমাদের কোনো লাভ নেই, ক্ষতিই হচ্ছে। কারণ দাম বাড়তি থাকলে মানুষ মাংস খুব কম কেনে এবং আমাদের লোকসান হয়। কারণ, আমরা ক্রেতা তেমন পাচ্ছি না। মহাখালী কাঁচাবাজারে মাংস কেনার জন্য এসেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক পিওন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঈদের সময় গরুর মাংস কিনেছিলাম ৭৫০ টাকা কেজিতে। এরপর আর কেনা হয়নি। আর খাসির মাংস কিনে খাওয়ার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়