শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০৩:১৪ দুপুর
আপডেট : ২০ মে, ২০২২, ০৩:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যক্তি মালিকানায় কোথাও হাট-বাজার স্থাপন করা যাবে না

ব্যক্তি মালিকানায় কোথাও হাট-বাজার স্থাপন করা যাবে না

দীপক চৌধুরী: [২] ব্যক্তি মালিকানায়  কোথাও হাট-বাজার স্থাপন করা হলে তা সরকার খাসজমি হিসেবে অধিগ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

[৩] বাংলাদেশ সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে একটি বিস্তারিত চিত্র  দেবে।  

[৪] প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভা হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২২ নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে যাতে এটি সময় উপযোগী করার জন্য ১৯৫৯ সালের একটি অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া  কেউ  কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ব্যাপক পদক্ষেপ নিতে এবং সবার কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

[৫] হাট-বাজারের জমিগুলো  জেলা প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে  কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না। প্রস্তাবিত আইনে  কেউ বা একদল  লোক অবৈধভাবে  কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে  কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে  প্রত্যেক ব্যক্তিকে অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইন অনুযায়ী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমি ভূমি উন্নয়ন করমুক্ত থাকবে, যা বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। কিন্তু,  কেউ যদি ২৫ বিঘার  বেশি জমির মালিক হন তাহলে  সেই ব্যক্তিকে পুরো জমির জন্য কর দিতে হবে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী  কোনো ব্যক্তি ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিক হতে পারবেন না, যদি কারো কাছে তা থাকে।  সেই অতিরিক্ত জমি সরকার নেবে।

[৬] কোনো জমি একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন হলে  সে  ক্ষেত্রে ওই জমির মালিকদের নির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণের জন্য শুনানি হবে এবং এরপর ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করা হবে। টানা তিন বছরের বেশি ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জরিমানা হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়