কূটনৈতিক প্রতিবেদক: ইউরোপীয় ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইএফএসএএস) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশের নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। রাশিয়া-মার্কিন শত্রুতা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। ইএফএসএএস প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে এএনআই।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হবে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বলপূর্বক গুমের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সমস্যায় পড়েছে।
গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর বাংলাদেশ যে বাহ্যিক চাপের মুখে পড়েছে তা এমন অনুপাতে পৌঁছেছে যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ চান না বলে সতর্ক করেছেন। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানানোর পর সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, তার দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে অন্য জাতির নাক গলানোর প্রয়োজন নেই।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গেও সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছে কারণ উভয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। ঢাকা উভয়কেই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং প্রত্যেকের সাথে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা চায়। ড. মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, নতুন রাষ্ট্রপতি, রাজনৈতিক বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টানা হয়।
টিআর/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :