মিনহাজুল আবেদীন: [২] সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৮৮ বারের মতো পিছিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, দীর্ঘ দশ বছর ধরে চাঞ্চল্যকর একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এভাবে পেছানো নজিরবিহীন। ডিবিসি টিভি
[৩] বুধবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, সাগর-রুনি হত্যায় জড়িত খুনিদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে কোনো ঘটনাই আড়াল করে রাখা যায় না। তদন্ত শেষ করতে এ রকম বিলম্ব এই মামলার বিচারে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। সরকার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আগ্রহী কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’ আজকের পত্রিকা
[৪] গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এ সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের দশম বছরে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুসন্ধান শেষ না হওয়ার ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করতে না পারার ব্যর্থতার কারণে জাতিসংঘের পাঁচজন স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারস গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারসগণ বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কৃত অপরাধের বিচার না হলে তা মিডিয়াকে ভয় দেখিয়ে চুপ করানোর উদ্দেশ্যে দোষীদের উৎসাহ দেয় এবং আরও আঘাত, ভীতি ও হত্যাকে ত্বরান্বিত করে; এবং আমরা বাংলাদেশে সেই গভীর উদ্বেগের নিদর্শন দেখতে পাই। দেশ রূপান্তর
[৫] প্রসঙ্গত, গত ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
[৬] আর্টিকেল নাইনটিন মনে করে, বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে ও তদন্তের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতার অন্যতম উদাহরণ হয়ে রইল এই হত্যা মামলা। এই তদন্তের কার্যক্রমে সদিচ্ছার অভাব, বিশেষ কোন মহলের চাপ বা অন্য কোন কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।
[৭] উল্লেখ্য, আর্টিকেল নাইনটিন যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তা নিশ্চিতে কাজ করে থাকে। সংস্থাটি ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় এর কার্যক্রম শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :