মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার (২৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রথম আলো
[৩] অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়তির দিকে। গত মার্চ পর্যন্ত এ হার ৬ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটা সরকারি হিসাব। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকেই নজর দেয়া হবে। ডিবিসি টিভি
[৪] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে ছিলো ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
[৫] আগামী বাজেটে ভর্তুকির চাপ কমাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানো হবে কিনা। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তুকি নয় মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনাই মুখ্য। কিন্তু যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধই এ মুহূর্তে বড় ঝুঁকির বিষয়।’
[৬] রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হারকেও মেলান অর্থমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর এবং চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাও সংশোধন করা হবে। দেশ রূপান্তর
[৭] তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এ হার আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত তা ঠিক রাখা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হবে। ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :