শিরোনাম
◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই ◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২, ০৯:০৩ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম

রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে নাশকতা নয়

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম

সুজন কৈরী: [২] নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচী বেড়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে যাতে কেউ কোনো আগুন সন্ত্রাস বা নাশকতা করতে না পারে সেদিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। 

[৩] সোমবার সকালে রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

[৪] পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল-ফিতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় ডিএমপির সকল স্তরের অফিসার ও ফোর্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে এক সাথে কাজ করতে হবে।  

[৫] আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সে দিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।

[৬] মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

[৭] এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি’র ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে রমনা। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী বিভাগ উত্তরা বিভাগ। 

[৮] সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন হাজারীবাগ থানার মো. মাসুদুর রহমান। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার মো. তোহাফাজ্জল হোসেন। শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার কৃষ্ণ পদ মজুমদার ও পল্লবী থানার মো. সজীব খান। 

[৯] শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মাসুদুর রহমান। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে তুরাগ থানার মো. ফেরদৌস মিয়া ও পল্লবী থানার মো. ফেরদৌস রহমান। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. সজীব খান। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার। 

[১০] মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন।

[১১] ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। মাদকদ্র্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মোস্তফা কামাল। 

[১২] চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম। অজ্ঞান ও মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।

[১৩] ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন কোতয়ালী ট্রাফিক জোনের বিমান কুমার দাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সাজ্জাদ খান। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে শেরেবাংলানগর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মামুনুর রশিদ ও রমনা ট্রাফি জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।

[১৪] এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পিআর বিভাগসহ ৭ টি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১০২ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়