শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন তিথি ও নাইম ◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২, ১১:৫২ দুপুর
আপডেট : ১৬ মে, ২০২২, ১১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইডির তদন্তে পিকের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ডেস্ক রিপোর্ট: ইডির তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই ইডির হাতে পিকে হালদারের বিষয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইডি কর্তারা এখন বুঝতে পারছেন, যেভাবে দ্রুত পিকে হালদার পশ্চিমবঙ্গে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল এবং কিছু বিরোধী দলের রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতা ছিল।

বিশেষ করে সেইসব বিরোধী নেতারা যারা এক সময় শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাঘববোয়ালদেরও কিছু নাম উঠে আসছে।

ইডি মারফত জানা যায়, পিকে হালদারসহ যে পাঁচজন ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের রিমান্ডে আছেন, তাদের মোবাইল থেকে রোববার (১৫ মে) রাতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের স্মার্টফোন গুলো লক করা ছিল। প্রথমে তাদের মোবাইল খোলার জন্য সহযোগিতা চাইলে তারা (পিকে ও অন্যরা) করেননি। এরপর নিজেদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেসব মোবাইলের লক খোলার পরই এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

জানা যায়, প্রথমদিকে পিকেরা কোনো সহযোগিতা না করলে এখন তারা ইডিকে সহযোগিতা করছে। আর সে কারণে পশ্চিমবাংলা এবং বাংলাদেশের রথী মহারথীদের নাম উঠে আসছে। ফলে ইডির নজরে পড়েছে দুই বাংলার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

প্রশান্ত কুমার হালদার শুধু বাংলাদেশের টাকা আত্মসাৎ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের দু'চারটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিলিয়ে মোট ২০টা ব্রাঞ্চ থেকে তার পরিবার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে আশা অবৈধ কালো টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপি নয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে কালো টাকার পরিমাণ এখন অবদি প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপি। টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলেই ধারণা।

বাংলাদেশ থেকে একাধিক হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা পশ্চিমবঙ্গে এসছে। আর এসব টাকা পিকেরা নিত কলকাতার বড়বাজারের হাওলাদারের কাছ থেকে। একাধিক হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা নিত তারা। যে কারণে সেই সব হুন্ডি পরিচালনাকারীর নাম ইডির নজরে এসেছে। তবে তদন্ত যে দিকে এগোচ্ছে তাতে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল অনেকটা কোণঠাসা। সম্ভবত সে কারণে পশ্চিমবাংলার সংবাদমাধ্যমগুলো প্রশান্ত কুমার হালদার নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

তবে তদন্ত যেদিকে যাচ্ছে সম্ভবত খুব শিগগিরই ময়দানে নামবে সিবিআই। কারণ এত টাকা কোথায় গেল? শুধুই কি সম্পত্তি নাকি এসব টাকা রাঘব বোয়ালদের পকেটেও আছে, যে কারণে প্রশান্ত কুমার হালদার দিনে দিনে এত সম্পত্তি করেছে এবং ভারতীয় নথি বানিয়ে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পেরেছে।

রিমান্ডে থাকা ৫ জন এবং একজন মহিলা যিনি আগে থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় অনুযায়ী জেলে আছেন, তাদের সবাইকে মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা বারোটার পর আদালতে তোলা হবে। বাংলানিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়