শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২, ০৩:০৭ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২২, ০৩:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারাগারে যেভাবে সময় কাটছে পি কে হালদারের দুই বান্ধবীর

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক: পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি হাজার কোটি টাকা পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার)। শনিবার (১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন তিনি। যদিও পিকের অপকর্মের সহযোগী তার দুই বান্ধবী নাহিদা রুনাই ও অবন্তিকা বড়ালকে গত বছরই গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারেই আছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অবন্তিকাকে গত বছর ১৩ জানুয়ারি এবং নাহিদা রুনাইকে ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনকেই রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা দুজনই এখন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি। রাখা হয়েছে আলাদা সেলে।

কারাগার সূত্র বলছে, পিকের দুই বান্ধবী শারীরিকভাবে ভালো আছেন। অন্য বন্দিদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটে তাদের।

জানা গেছে, পি কে হালদারের বান্ধবীদের বড় বহরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ছিলেন অবন্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাই। আর্থিক অনিয়মের অন্যতম সহযোগী হওয়ায় পি কে তাদেরকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। এই দুই বান্ধবীকে পি কে পৃথক পৃথক ২০ থেকে ২৫ বার সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে প্রমোদ ভ্রমণ করেছেন।

এদিকে গত বছরের মার্চে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ হয়, পি কে হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। তখন কানাডায় তার বসবাসের খবর আছে। তারপর থেকেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাতে থাকে সরকার। অবশেষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নাম পরিবর্তন করে বসবাসের খবরে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে পিকেসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

এরপর পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্কশাল আদালত পিকেসহ পাঁচ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে আদালত ১৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

জানা গেছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন পি কে হালদার। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়