শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২২, ০৬:৫৬ বিকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৭:১৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

তরমুজ

মিনহাজুল আবেদীন: [২] রাজধানীর বাজারগুলোতে তরমুজের দাম কমে গেছে। ঈদের আগে যে তরমুজ কিনতে ক্রেতাদের ৩০০ টাকার ওপরে ব্যয় করতে হয়েছে, এখন সেই আকারের তরমুজ ১০০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। জাগোনিউজ ২৪  

[৩] ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা বেশি পরিমাণে তরমুজ তুলে বাজারে সরবরাহ করছেন। এটি তরমুজের দাম কমার প্রধান কারণ।

[৪] এছাড়া এখন বাজারে লিচু ও আম পাওয়া যাচ্ছে। যা তরমুজের চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আবার রোজার কারণেও কিছুদিন আগে তরমুজের বাড়তি চাহিদা ছিলো, সেটা এখন নেই। সব মিলিয়ে রোজার সময়ের তুলনায় এখন তরমুজের চাহিদা অর্ধেকে নেমে গেছে। ফলে চাহিদা কমায় দামও কমে গেছে। ডিবিসি টিভি 

[৫] ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছেন, এখন বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগ খুলনা ও সাতক্ষীরার তরমুজ। এই তরমুজের স্বাদ অনেক ভালো, তবে আকারে তুলনামূলক ছোট। অপরদিকে বরিশালের কিছু তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, যা আকারে বড়। আকারে বড় হলেও এই তরমুজের স্বাদ কম। এ কারণে খুলনার তরমুজের চাহিদা এখন বেশি।

[৬] এদিকে রোজায় খুচরা বাজারে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি হলেও এখন পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ৫-৬ কেজি ওজনের খুলনার একটি তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ঈদের আগে এই তরমুজের পিস বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার ওপরে।

[৭] এছাড়া এখন বড় তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। ঈদের আগে এসব তরমুজের পিস বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর ছোট তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়। যা ঈদের আগে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হয়।

[৮] কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের আগে থেকেই বাজারে খুলনার তরমুজ আসতে শুরু করেছে। এখন বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগ খুলনার তরমুজ। আকারে ছোট হলেও এই তরমুজের চাহিদা বেশি। আর বরিশালের তরমুজ আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর হলেও চাহিদা কম। ফলে বরিশালের তরমুজ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

[৯] সেগুনবাগিচায় তরমুজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ২০০ টাকা দিয়ে তরমুজ কিনেছি। ঈদের আগে এই তরমুজ ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতেও অনেক দর কষাকষি করতে হয়েছে। এখন তরমুজের দাম বেশ কম। কয়েকদিন আগে একটা তরমুজ কিনেছিলাম, ওটা বেশ মিষ্টি ছিলো।

[১০] বাদামতলীর ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, এখনকার বেশিরভাগ তরমুজ দেখতে সুন্দর না। কোনটার মুখ চিকন, আবার কোনোটার মাজা বাঁকা। এসব তরমুজের আকৃতি ভালো না হলেও স্বাদ ভালো। এখনকার অধিকাংশ তরমুজ লাল ও অনেক মিষ্টি। তবে দাম অনেক কম। ঈদের আগের তুলনায় এখন তরমুজ অর্ধেকের কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

[১১] বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাথী ফ্রেস ফ্রুটস লিমিটেডের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোজায় তরমুজের যে চাহিদা ছিল তা এখন নেই। আবার বৃষ্টির কারণে চাষিরা বেশি বেশি তরমুজ তুলছেন। এসব কারণেই তরমুজের দাম কমে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়