শিরোনাম
◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২২, ১০:৫২ দুপুর
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ০৬:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পি কে হালদারসহ ৫ জন তিন দিনের রিমান্ডে

পি কে হালদার

মহসীন কবির: [২] রোববার (১৫ মে) সকালে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের আদালতে তোলা হয়। এরপর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তদন্তের স্বার্থে তাদের ১৭ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জানা গেছে, অন্য একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন কলকাতার বিশেষ আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। 

[৩] এর আগে শনিবার (১৪ মে) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি’র রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৬ সহযোগীসহ গ্রেফতার হন প্রশান্ত কুমার হালদার। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে আটক করা হয় তাকে।

[৪] কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধার বিশাল বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান পায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। সুকুমার মৃধা পি কে হালদারের অর্থ দেখভাল করতেন। স্থানীয়রা মৃধাকে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে জানতেন। পি কে হালদার ছিলেন সুকুমার মৃধার প্রতিবেশী। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, এ দুজনের যোগসাজশেই বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

[৫] অশোকনগরে একাধিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন হালদার-মৃধা জুটি। এর মধ্যে শুক্রবার (১৩ মে) তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যার একটিতে এতদিন একাই থাকতেন সুকুমার মৃধার জামাতা বাংলাদেশি নাগরিক সঞ্জীব হালদার। পি কের ভাই প্রীতিশ হালদারও থাকতেন সুকুমার মৃধার বাড়িতে। স্থানীয়দের কাছে তিনি প্রাণেশ হালদার নামে পরিচিত ছিলেন।

[৬] পি কে হালদারের আরেক সহযোগী স্বপন মিত্রের বাড়িতেও অভিযান চালায় গোয়েন্দা সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। পরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকেও আটক করা হয়।

[৭] গোয়ন্দা সংস্থাটি বলছে, শুধু অশোকনগর নয়, কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন এলাকা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অভিজাত এলাকায় পি কে হালদার চক্রের একাধিক বাড়ি ও অফিসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। পি কে হালদার কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, সেই রহস্যের জট এখনো খোলেনি।

[৮] ২০১৯ সালের ২২ অক্টেবর রাত পর্যন্ত দেশেই ছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার। ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চিঠি দেয় ইমিগ্রেশনকে। দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে আবারও তার বিদেশে যাওয়া ঠেকাতে বলে দুদক।

[৯] দুদক এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ যখন চিঠি চালাচালি করছে তখনো সীমান্ত পাড়ি দেননি পি কে হালদার। আদালতে জমা দেওয়া ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য বলছে, দুদকের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে যশোরের বেলাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশ ছাড়েন পি কে হালদার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়