বাবুল খাঁন, বান্দরবান : নাইক্ষংছড়ি সীমান্তের ৭ চৌকি দখলে নিতে মরিয়া মিয়ানমার বাহিনী। এ লক্ষ্যে দিনভর গোলাগুলিতে আতংকিত ৩ গ্রামের ২ শতাধিক মানুষ এখন পালিয়ে এসেছে। অনেকে স্বজনদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে উপজেলা প্রশাসনের খোলা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে মিয়ানমার বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠীর সাথে অন্য একটি স্বশস্ত্র বাহিনীর গোলাগুলি শুরু হয় আমতলী মাঠ নামক এলাকায় মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর একটি চৌকিতে। এটি দীর্ঘ দেড় মাস ধরে বিদ্রোহীদের দখলে ছিলো। তার ধারণা এ ক্যাম্পগুলো পূনঃরুদ্ধারের জন্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, হঠাৎ সীমান্তের এ অংশে গোলগুলির আওয়াজ শুনে মানুষ আতংগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসছে নিরাপদে। এ জন্যে তাদের জন্যে জরুরী সেবা দেয়ার জন্যে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। যেটি স্থানীয় চাকঢালা জুনিয়র হাইস্কুল। তাদেরকে সেখানে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৪ পিলার নিকটবর্তী আবদুর রহমান, মোহামাদ হাশেম ওরসাহাব মিয়া জানান,যেন অরাজক পরিস্থিতি। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে প্রথম একে -৪৭ রাইফেলস এর ১ টি গুলির আওয়াজ শুনেন তারা। বেলা ১২ টা থেকে বুষ্টির মতো ভারী অস্ত্রের গুলির আওয়াজ তাদেরকে তটস্থ করে তুলে।
শিশু ও নারীরা দ্বিকবিদিক পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে নিরাপদ দূরত্বে স্বজনদের বাসা বাড়িতে। তারা আরো বলেন, প্রথমে তারা বাড়ি না ছাড়লেও বেলা ২ টার পর সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম থেকে লোকজন নিজেদের গরু-ছাগল নিয়ে পালিয়ে এসেছে আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি গুহাতে। পরে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে লোকজন আশ্রয় নিচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ঘটনায় কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা।
প্রতিনিধি/কেএ/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :