শিরোনাম
◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২২, ০১:০৭ রাত
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২২, ০৪:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকায় এক পরিবারের মাসে খাবার কেনায় খরচ ২২,৪২১ টাকা

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট: বর্তমানে নগরবাসীকে খাবার খেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ মাছ-মাংস না খেয়েও ঢাকা শহরের চার সদস্যের এক পরিবারকে মাসে এখন খাবার কিনতে গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা খরচ করতে হয়।

আর মাছ-মাংস খেলে ওই পরিবারের খাবারে খরচ হয় ২২ হাজার ৪২১ টাকা। এটি চলতি অক্টোবর মাসের হিসাব। গত পৌনে চার বছরে খাবার কেনায় ওই সব পরিবারের খাবার খরচ  ২৭ থেকে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ তথ্য প্রকাশ করে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে মূল্যস্ফীতির চাপ বোঝাতে ঢাকা শহরে পরিবারের খাবার কেনার খরচ কত বাড়ছে তা জানাতে এসব তথ্য দেয় সিপিডি।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় সব খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক খরচ ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরের খাদ্যপণ্যের মূল্য বিবেচনায় এ খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ২২ হাজার ৪২১ টাকা।

অন্যদিকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে কম্প্রোমাইজড ডায়েটের হিসাবে চার সদস্যের পরিবারের ন্যূনতম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৯ টাকা, যা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ছিল ৬ হাজার ৫৪১ টাকা। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্কের হার কমানো ও বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

সিপিডি বলছে, মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বাড়ার হার কম। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি, আর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ছে। সিপিডি দেখিয়েছে, এত কম হারে মজুরি বাড়লে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকেরা মাছ-মাংস না খেয়েও সংসার চালাতে পারবেন না। তাদের ন্যূনতম মজুরির চেয়ে খাবার খরচের বেশি। এ তালিকায় আছে তৈরি পোশাক, হোটেল-রেস্তোরাঁ, প্রসাধনী, দরজি, বেকারি, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, প্লাস্টিক, চালকল, চামড়া ও পাদুকা খাতের শ্রমিকেরা। এজন্য ওএমএস কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষদের নগদ অর্থসহায়তা দিতে হবে। জ্বালানির দাম কমানো, অর্থের জন্য কর, জিডিপি বাড়ানোসহ আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিডিপি।

সিপিডি আরও বলছে, অর্থনীতিতে সাতটি সংকট আছে বলে মনে করে সিপিডি। এই সংকটগুলো হলো মূল্যস্ফীতি, ডলার, খাদ্য, জ্বালানি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। এ সংকট মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগগুলো সঠিক, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নয়। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এটা মানুষের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির লাগামহীন অবস্থা। ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিঘ্নিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বলছে, দুর্ভিক্ষ আসছে এবং বিষয়টি সত্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে খাদ্য সংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের ৪২টি দেশে খাদ্যসংকট হতে পারে। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুপারিশ করেন ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চাপে আছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২৩ সালেও এ সংকট থেকে মুক্তি পাব না। বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক বছরের মধ্যে পরিত্রাণ পাব—এটা আশা করা যায় না।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, খাদ্য একটি রাজনৈতিক পণ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যপণ্য কেনায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, নিজের মজুদ নিশ্চিত না করে কোনো দেশ পণ্য রপ্তানি করতে চাইবে না। তাই ভবিষ্যতে ডলার থাকলেও বিশ্ববাজারে পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্য না–ও থাকতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়