মাসুদ আলম : [২] বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন ও ভাটারায় অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপ গাড়ির বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশসহ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূলহোতা এনামুল মোল্লা, এনামুল হক ওরফে এনাম, বকুল চৌধুরী, শরিফ আহম্মেদ ওরফে কালু, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন ওরফে পলাশ ও ইকবাল খান।
[৩] তিনি বলেন, গ্রেপ্তাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের গাড়ির সাইড লুকিং মিরর ১২৪ পিস, সাইড মিররের কভার ১৯ পিস, লুকিং গ্লাসের কর্নার বিট ১০৭ পিস, হেরিয়ার জীপ গাড়ির গ্রিল লোগো ২ পিস, কমপ্লিট মিরর ১২ পিস, এক্সিও প্রাইভেটকারের দরজার বিট ৩০ পিস, কমপ্লিট সাইড মিরর ১৮ পিস, বাম্পার ক্যাপ ৬ জোড়া, পিছনের ডালার বিট ২৬ পিস চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
[৪] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মূলত: চারজন চুরি করে থাকে। এরা প্রথমে নিরিবিলি বা জনসাধারণের কম সমাগম স্থানে অবস্থান করে। এরপর গাড়িতে ড্রাইভার বা অন্য কেউ না থাকলে গাড়ির বাইরের পার্টস যেমন সাইড মিরর, বাম্পার ক্যাপ, দরজার বিট ইত্যাদি খুলে কৌশলে সরে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এরা এসব চোরাইকৃত যন্ত্রাংশ পল্টনের স্কাউট মার্কেট, মহাখালীর জেবা টাওয়ার, ধোলাইখাল ও বারিধারার কিছু দোকানে বিক্রয় করে থাকে।
[৫] তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে চক্রটি যে মালিকের পার্টস চুরি করে, দোকানদার সেই পার্টস পুনরায় উচ্চ দামে ওই মালিকের কাছেই বিক্রি করে। কারণ অনেক গাড়ির নতুন পার্টস মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানী করা হয়না বা কিনতেও পাওয়া যায় না। চোরাই পার্টস চুরির পর মুহূর্তেই চোরের ওস্তাদের মাধ্যমে তা পার্টসের দোকানে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়।
[৬] মাহবুব আরও বলেন, চক্রের মূলহোতা মো. এনামুল মোল্লা নিজে চুরি না করলেও তার নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকজন চুরি করতো। চুরির এসব যন্ত্রাংশ রাজধানীর পল্টন স্কাউট মার্কেট, মহাখালীর জেবা টাওয়ার, বারিধারার জে-ব্লকসহ একাধিক মার্কেটে পাওয়া যায়।
[৭] তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চোরদের কাছ থেকে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে কার প্লাস মার্কেটের কালু, বিল্লাল, স্কাউট মার্কেটের চুন্নু, পলাশ, বারিধারার ইকবাল, মহাখালীর জেবা মার্কেটের নাহিদ, পরান, মামুন ও ধোলাইখালের সানালদের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
আপনার মতামত লিখুন :