শিরোনাম
◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৫ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ০২:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তবে কি শীঘ্রই কমছে না লোডশেডিং!

আল আমিন : সারাদেশে তীব্র লোডশেডিং, জ্বালানি সংকটে ৩০টি কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ। আপাতত কমছে না বিদ্যুতের লোডশেডিং। কবে নাগাদ কমবে, তা কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে উৎপাদন বন্ধ ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফলে চাহিদার চেয়ে অন্তত দুই হাজারেরও বেশী মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে দেশে। যার ফলাফল এই চলমান লোডশেডিং। এমন অবস্থায় রাজধানী ঢাকাসহ অনেক এলাকায় সকাল-দুপুর তো বটেই, মধ্যরাতেও থাকছে না বিদ্যুৎ।

প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের মাঝামাঝির দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় লোডশেডিং। কথা ছিলো, দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা থাকবে না বিদ্যুৎ।

আশা করা হয়েছিল, অক্টোবরে আগের মতো স্বাভাবিক হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। গেলো ৪ঠা অক্টোবর ব্ল্যাক আউটের পর থেকে এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি।

ঢাকার একটি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস নিতে আসা এক তরুণ বললেন, শুনেছিলাম অক্টোবর থেকে লোডশেডিং বন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু এখন তো আর বন্ধ হলো না। মনে হচ্ছে সামনের দিকে তা আরো প্রকট আকার ধারন করবে। আমরা তো ভুক্তভোগী। গ্যাস পাম্পে বসে আছি, ঘণ্টাদুয়েক ধরে বিদ্যুৎ নেই।

রাজধানীর আরেক বাসিন্দা বলেন, আগের চেয়ে এখন আরো বেশি বিদ্যুৎ যাচ্ছে। দিনে ৩-৪ বার কিংবা তারও বেশি বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি তো আরও খারাপ। গ্রামে-গঞ্জে কোথাও কোথাও দিনের অর্ধেক সময়ের ও বেশী থাকছে না বিদ্যুৎ। হঠাৎ করে এমন অসহনীয় দুর্ভোগে কষ্ট বাড়ছে মানুষের।

প্রশ্ন হলো, হঠাৎ কেন এতো লোডশেডিং? বিদ্যুৎ বিভাগের ভাষ্য, গড়ে প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করা যাচ্ছে না। কারণ, জ্বালানির তীব্র সংকট।

গ্যাস দিয়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করার কথা থাকলেও তাও নেমে এসেছে ৫ হাজারের নিচে। আর জ্বালানি তেল দিয়ে পরিকল্পনার অর্ধেক অর্থাৎ মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনেই হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, গ্যাসের অভাবে আমাদের কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে কম লোডে চলছে, আবার কিছু বন্ধও রয়েছে। তাই এ লোডশেডিং হচ্ছে।

এদিকে, জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ আর কারিগরি ক্রুটির কারণে ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে কয়েকটি কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে না সরকার।

তাই ধারণা, শিগগিরই কাটছে না সংকট। এই ভোগান্তি থেকে বাঁচতে হবে আপাতত শীতের অপেক্ষা করতে হবে দেশবাসীকে।

মোহাম্মদ হোসেন আরও বলেন, প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। আর তাতে পুরানো অবস্থায় ফিরে এসেছি। যদি হিটিং লোডটা কিছুটা কমে, আমরা উৎপাদন বাড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

চলমান সংকটের কারণে গ্রাহকদের কাছে আবারও দুঃখপ্রকাশ করে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।

এএইচ/এইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়