শিরোনাম
◈ তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর যা জানালো ◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০২২, ০৪:২৪ দুপুর
আপডেট : ০৮ অক্টোবর, ২০২২, ০৪:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে উদ্ভাবনী ও কার্যকর সমাধান প্রয়োজন

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

মনজুর এ আজিজ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াটি লাভজনক ব্যবসায়ীক উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করা গেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সার্কুলার বা চক্রাকার প্রক্রিয়া অনুসরণ করাকে কার্যকর সমাধান হিসেবে মনে করেন মন্ত্রী। 

শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও দেশের অন্যতম বৃহত্তম নিত্য-ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্লাস্টিক বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য নীতি সহায়তা শীর্ষক সেমিনারে এ বথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, সার্কুলার প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ভ্যালু চেইনের অংশীদারদের ক্ষমতায়ন ও অনানুষ্ঠানিক খাতকে সামগ্রিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। ভ্যালু চেইনে রয়েছেন অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ভাঙ্গারি ও বর্জ্য সংগ্রাহকরা। এই খাতটি অনানুষ্ঠানিক হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করে এই খাতে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি, একই সঙ্গে পরিবেশ ও অর্থনীতির স্বার্থেই টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপযোগী কাঠামো তৈরির তাগিদ দেন তিনি। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন যে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর সাথে বহু অংশীজন ও খাত সম্পৃক্ত। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সমন্বিত উদ্যোগে নীতি প্রণয়ন জরুরি। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, ভিশন ২০৪১ এ টেকসই নগরায়ন লক্ষ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ হিসেবে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে প্লাস্টিক বর্জ্যকে টেকসই উপায়ে পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জিডিপি বৃদ্ধির সাথে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব এই খাতে মূল চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা জরুরি। 

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিইও ও এমডি জাভেদ আখতার বলেন, আমরা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনগুলোর সাথে বেশকিছু পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই উদ্যোগগুলো যথাযথ সুবিধা ও সহযোগীতা না পেলে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এই ধরনের উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত হবেনা। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও এফবিসিসিআই-এর প্যানেল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইজাজ হোসাইন। 
তিনি বলেন, সরকার নীতি পর্যায়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাগুলোর কারিগরি ও আর্থিক সক্ষমতার অভাব মূল স্যমস্যা। এ কারণে সঠিক প্রক্রিয়ায় বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও উৎসে বর্জ্য পৃথক করা যাচ্ছেনা। যা রিসাইকেলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। স্বল্পমেয়াদে ম্যাটেরিয়াল রিকভারি ফ্যাসিলিটি (এমআরএফ) স্থাপন করে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে সহজে এবং কম খরচে বিকল্প জ্বালানি তেল (আরডিএফ) উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। 

বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিপিজিএমইএ’র সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক খাত দেশের সকল শিল্পের সহযোগী চালিকা শক্তি। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারি সংস্থার আরো বিনিয়োগ ও অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো, বেসরকারি খাতের উদ্যোগে প্রণোদনা ও কর সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়