সালেহ্ বিপ্লব: মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিক, গণমাধ্যমের অন্যতম নক্ষত্র সাংবাদিক তোয়াব খানকে আজ সোমবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। বাসস 

তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির জানান, তোয়াব খানের মরদেহ সোমবার সকাল ১০টায় তেজগাঁওস্থ নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে নেয়া হবে, সেখানে প্রথম জানাজা হবে। এরপর তার মরদেহ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। ব্যবস্থাপনায় থাকবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাখা হবে যশস্বী সাংবাদিকের মরদেহ। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নেয়া হবে গুলশানের নিজ বাসভবনে। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে কিংবদন্তী এ সাংবাদিককে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।  

শনিবার বার্ধক্যজনিত জটিলতায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। একই বছর তাকে সম্মানিত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। তোয়াব খান দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে গত বছর পর্যন্ত উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। এ বছর নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 
বরেণ্য এ সাংবাদিককের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্টপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিনিয়র রাজনীতিবিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতারা শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।