শিরোনাম
◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪০ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বায়ু থেকে দেশে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা

উইনড টারবাইন

ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির ফলে নজর দেওয়া হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে। জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে গত কয়েক দশক ধরেই জীবশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সৌর ও বায়ু শক্তির মত নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিদ্যুতের এই উৎস খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের আগে এ নিয়ে কোন গবেষণাও হয়নি। 

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সারাবিশ্বে, বিশেষ করে ইউরোপে জ্বালানি সঙ্কট দেখা  দেওয়ার ফলে জ্বালানির বিকল্প উৎস নিয়ে অনেক বেশি কথা বার্তা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচলিত উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা। এই তিনটিই হচ্ছে জীবশ্ম জ্বালানি। কিন্তু এসবের ব্যবহারের ফলে পরিবেশকে অনেক বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে। 

গত বছর সারা বিশ্বে যত গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গত হয়েছে, তার প্রায় ৭৩ শতাংশই এসেছে জ্বালানি খাত থেকে। কারণ জ্বালানি উৎপাদনের বর্তমানের পদ্ধতি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল। এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে বিভিন্ন দেশ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য পরিবেশের ক্ষতি করে , এমন নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি হচ্ছে উইনড মিল। 

২০২০ সালে যত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে তার মাত্র ৫ শতাংশ এসেছে এই বায়ু শক্তি থেকে। বিজ্ঞানিরা এখন এই বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদনের উপর জোড় দিচ্ছেন। আর এই কারণে উন্নতদেশগুলোর সমুদ্র বন্দরে বসানো হচ্ছে ভাসমান উইনড টারবাইন। 

টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্রেডার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলা  উদ্দিন বিবিসির পরিক্রমায় বলেন, এখন আমাদের গ্রিডে বায়ু শক্তি থেকে যে বিদ্যুৎ আসে সেটা আসলে খুবই অল্প। ফেনির সোনাগাজী থেকে আসে ০.৯ মেগাওয়াট। আর কুতুবদিয়া থেকে আসে ০.২ মেগাওয়াট। এসবই ছিলো পাইলট প্রকল্প। বর্তমানে কক্সবাজারের  কমার্শিয়াল প্রকল্প ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে। সেখান থেকে ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আর মংলাতে ৫৫ মেগাওয়াটের একটা প্রকল্পের কয়েকদিন আগে চুক্তি সই হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বায়ু শক্তির গুরুত্ব না পাওয়ার কারণ হচ্ছে, সৌর বিদ্যুৎ সব জায়গা থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু বায়ু বিদ্যুতের পেতে চাইলে আগে সেটা নিয়ে গবেষণা করতে হয়। সত্যিকারের কথা হচ্ছে, বায়ু বিদ্যুতের বিষয়ে ২০১৪ সালের আগে কোনো গবেষণাই হয়নি। ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সাল মেয়াদি ইউএসএআইডির সহযোগিতায় সরকার একটি প্রকল্প চালু করে। বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা কম না বেশি, সেটা বলার জন্যও গবেষণা প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য এ জ্বালানির ক্ষেত্রে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। এ কারণে জীবশ্ম জ্বালানির জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, বায়ু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। 

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবতর্নের ভিকটিম হলেও নাবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. আলাউদ্দিন বলেন, আগে জীবাশ্ম জ্বালানির দাম অনেক কম ছিলো। এখন দাম বেড়ে গেছে। তাই এ দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সবাই যদি এই দিকটাতে গুরুত্ব দেয়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে উইনড টারবাইনের মাধ্যমে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। 

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্ব যদি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যায়, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ ১২ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে ওবলা হয়, বিগত ১০০ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফিতি ও বৈশ্বয়িক অস্থিরতার মধ্যেও জীবাশ্ম জ্বালানির দাম তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়