শাহীন খন্দকার: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভা নিয়মিত করার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা ও নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন, চিকিৎসকদের।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা ও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এসময়ে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল প্রধানের অনেক দায়িত্ব। ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কিনা সেটি দেখতে হবে। টয়লেট ও বেড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশের ন্যায় রোগীকে সেবা দেওয়ার আহবান জানান। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেটি দেখার দায়িত্ব পর্ষদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সেখানে ৩০-৩২ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে রোগীরা। বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ শয্যা। প্রতিটি বড় হাসপাতালে আইসিইউ আছে। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হার যেটা এক সময় ২ ভাগও ছিল না, এখন তা ৬৫ শতাংশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে।

সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে ও সেবার মান বেড়েছে। ব্রেন টিউমার, বাইপাস সার্জারির মত রোগের অপারেশন এখন দেশেই হচ্ছে। আমাদের  কোন ওষুধের অভাব নেই।

এসময়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু করোনা মহামারিতে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। ইউনিয়ন থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মেশিন, লোকবল ঠিক আছে কিনা, মানুষ সেবা পাচ্ছে কিনা সেগুলো দেখা হচ্ছে। 

স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির অভাব নেই কিন্তু জনবলের অভাব রয়েছে। তবে গত ৫০ বছরে ডাক্তার যেখানে ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে, করোনার দুই বছরে সেটি তিনগুণ বেড়েছে। নার্সও দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা কাজ করেছি বলেই স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করেছি, মাঠে নেমেছি। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হবে।