শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ০৮:২৬ রাত
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ০৮:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাশিয়ার তেল আমদানিতে আপত্তি করবে না যুক্তরাষ্ট্র: জ্বালানি উপদেষ্টা

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী

মনজুর এ আজিজ: বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। সম্প্রতি জ্বালানি তেল আমদানি নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।

এদিকে গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্ভব নয়। সরকারের ওই বৈঠকের এক সপ্তাহ না পেরোতেই জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা এমন কথা বললেন।

সংবাদ সম্মেলনে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।

জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার এমন অস্থিতিশীল যে, আগামী সময়ে দেশে কবে কত টাকা দাম কমবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারেন না। রাশিয়া থেকে তেল আসলেই রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটিও তিনি মনে করেন না। তবে জ্বালানির দাম কমে গেলে আমাদের আর কোন সমস্যাই থাকতো না। এখন যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা মূলত জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে। 

তিনি বলেন, এখন আমাদের দেশে ২০০৯ সালের তুলনায় চারগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যে থেকেও আমরা এটা করতে পেরেছি, এটা কম কথা নয়। জ্বালানি সংকট সমাধানে আমরা দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে গত ৫ বছরে ৩৪টি কূপ খনন করেছি। গত বছরই আমরা চারটি কূপ খনন করেছি। বাংলাদেশে অনুসন্ধান হয়নি এই কথা বলা হয়, এটা ঠিক না।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্থলভাগে আমরা বাপেক্স ছাড়া আর কাউকে অনুসন্ধান কাজ করতে দিচ্ছি না। যদিও ভোলায় এই বিধিনিষেধের মধ্যেই গ্যাজপ্রমকে কাজ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে আইওসিকে কাজ দিচ্ছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না।

তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি জ্বালানি তেলের দাম না বাড়াই তাহলে বাজেট থেকে ভর্তুকি দিতে হয়। এটা হলেও মূল্যস্ফীতি বাড়ে। দাম বাড়লে যে ভর্তুকি দিতে হবে তাতেও স্ফীতি বাড়বে।

তিনি বলেন, আমরা আইএমএফ-এর মালিকও। কারণ আমরা আইএমএফ-এর শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার। কাজেই আমরা আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ নিতে পারি। তিনি বলেন, চার-পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো অর্থ আছে। আমি গতকাল শুনছিলাম রিজার্ভ বাড়বে। এটা একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকট কবে সমাধান হবে, এটা কেউ বলতে পারে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়