শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১০:২৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ০৩:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে মানববন্ধন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত চান স্বজনরা

মহসীন কবির: আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে মায়ের ডাক সংগঠন। অবিলম্বে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান দাবি করেছেন স্বজনরা। চ্যানেল২৪ ও যমুনা টিভি

তাদের দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা ও আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। এ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও স্বজনের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানান তারা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গুম বিরোধী সনদে স্বাক্ষর করার তাগিদ দেন তারা।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিই কারও গুম হওয়াকে সমর্থন করে না।  আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে টুইটারের এক টুইট বার্তায় তিনি একথা জানান।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ সম্মেলনে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়। এর পরের বছর থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। দেশে দিবসটি পালন করতে কর্মসূচি পালন করবে বিভিন্ন দল ও সংগঠন।

আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর এবং এ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে।

আসকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা অভিযোগ তুলেছেন। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, ৮৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছেন। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার, স্বজন বা প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, বিশেষ বাহিনী- র্যাব, ডিবি পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচয়ে সাদা পোশাকে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রায়ই সংশ্লিষ্ট বাহিনী তাদের গ্রেফতার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে কেবল অবৈধ অস্ত্র কারবারি ও ভিন্নমতাবলম্বীরাই গুম হতেন। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর নেতা, মাদক কারবারি ও মানবপাচারকারীদের মধ্যেও গুমের ঘটনা দেখা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়