শিরোনাম
◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:১৪ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

বাংলাদেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে, নাকচ করলেন অর্থমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তার প্রভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র পুরোপুরি বিপরীতমুখী হয়ে যাবে বলে আশংকা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।

কোভিড মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেভাবে উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছিলো, এই দুই সংকট সেই উন্নয়নের গতিধারাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ রপ্তানি বাজারে উল্লেখ করার মতো একটি অবস্থান তৈরি করেছিলো, বিশ্বজোড়া সঙ্কটের কারণ যা হুমকির মুখে পড়েছে।

ব্রিটিশ পত্রিকাটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশীদের মতো বাংলাদেশও জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ আমদানী-মূল্য। দুয়ে মিলে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। আর সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্ত হওয়া এসব কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে আশঙ্কা অনেকের। 

জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক ম্যালোচ ব্রাউন বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে সারাবিশ্বে সুপরিচিত হয়ে ওঠা বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈশি^ক সংকটের কারণে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা এখনো সেভাবে বাংলাদেশের গায়ে লাগেনি। রপ্তানিখাতে অভাবনীয় ভালো অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠেছে। তবে গত জুলাইতে বাংলাদেশ সরকার বিশ^ মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। পাশাপাশি বিশ^ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও অন্যান্য দাতার কাছ থেকে আরো ৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ অফিস সময় পাল্টেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করেছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশ কিছু বিলাস-দ্রব্য আমদানী নিষিদ্ধ করেছে। 

আইএমএফ জিডিপির বিপরীতে ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করে বলেছে, বাংলাদেশ খারাপ অবস্থায় নেই। তবে বৈশ্বিক অনিশ্চিত পরিস্থিতি দেশটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। 

আইএমএফ এও বলেছে, কোভিড মহামারীতেও গার্মেন্টস শিল্পের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছিলো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর বড়ো ক্রেতারা নিজেরাই সমস্যায় পড়েছে। ফলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, রপ্তানি কমে যাবে। 

কারণ হিসেবে আইএমএফ আরো বলেছে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানিকারকরা কাঁচামাল থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি, সবই আমদানি করে। 

ঢাকার ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এক সাক্ষাতকারে ফিনান্সিয়াল টাইমকে জানান, সুতার দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বর্ধিত মূল্য আদায় করা সম্ভব। আমাদেরকে এই উচ্চমূল্যের জন্য ভুগতে হচ্ছে। 

আমদানি খরচ বাড়ার কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা গত বছর ছিলো ৪৫ বিলিয়ন ডলার। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক, প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, বাংলাদেশের এখন ৫ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধের সক্ষমতা আছে। কিন্তু এই সক্ষমতা তিন মাসেরও কম সময়ে নেমে আসতে পারে, বছর শেষে যা একটি জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। 

তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের সব দেশই চাপের মুখে রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। শ্রীলঙ্কা ও অন্যান্য প্রতিবেশীর খারাপ অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা যাবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণদাতারা আমাদের প্রকল্প ও ব্যালেন্স শিট সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। তাই তারা মনে করেন, বাংলাদেশ খুব ভালো ঋণগ্রহীতা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়