আনিস তপন: সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পটুয়াখালীতে শুরু হওয়া পাইলট প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস)। যা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এটা শেষে জরিপে যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে।
রোববার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় একথা বলেন, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রদানের কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। বিডিএস এর স্মার্ট ম্যাপে এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানা সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে। এতে ভূমি সংক্রান্ত মামলা ৬০ শতাংশ কমে যাবে।
জনগণকে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স/ জমির খাজনা) ব্যবস্থা ভূমি সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা (রশিদ) সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। অনলাইনে এলডি ট্যাক্স দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনেই দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও, ই-নামজারি আবেদনের সময় সরকারের কাছে সংরক্ষিত দলিলাদি/কাগজ-পত্রাদি পুনরায় যেন আবেদনকারীর কাছ থেকে চাওয়া না হয় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ প্রদান করেন সচিব। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য রিপোর্টিং ড্যাশবোর্ড নিয়মিত পর্যালোচনা করার কথাও বলেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ঢাকা বিভাগ, কম সময়ে ই-নামজারি নিষ্পত্তিতে রংপুর বিভাগ এবং ডাকযোগে খতিয়ান ও ম্যাপ সরবরাহে খুলনা বিভাগ অন্যান্য বিভাগের চেয়ে এগিয়ে আছে।
প্রতিটি বিভাগে প্রাথমিকভাবে একটি ভূমিসেবা কিয়স্ক (শরড়ংশ) সরবরাহের ঘোষণা দিয়ে ভূমিসচিব বলেন, কিয়স্ক বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন স্টেশন, বিপণী-বিতান, অফিস কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গায় স্থাপন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :