আনিস তপন: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে একথা বলেন, পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

তিনি বলেন, আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ পলাতকদের অচিরেই দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে এবং এদের দল-বিএনপি'র বিচার করতে হবে। এই খুনি ও সাম্প্রদায়িক দল বিএনপিকে কানাডার আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিলো।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় স্পিন্টার বয়ে বেড়ানো এনামুল হক শামীম বলেন, একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে যে মাটি ভিজেছিল, যে মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজেছিল পঁচাত্তরে, সেই মাটিতে আবারও রক্তস্রোত, যা ২১ আগস্ট বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে। সেদিন তাদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের বুলেট ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ফিরে আসে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হয়ে। নেতাকর্মীদের তৈরী মানবঢাল ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আবারও বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। 

নিজেও গ্রেনেড হামলার কারণে শরীরে স্পিøন্টার বয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামাত দেশ বিরোধী মহাপরিকল্পনা করে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো। ৭৫ এ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাস্টারমাইন্ড। আর ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হত্যা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান। গ্রেনেড হামলার পর তারা মামলা পর্যন্ত করতে দেয়নি। তারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলো। তবে তারা সফল হয় নি, সফল হবেও না। বাংলার মাটিতেই তাদের বিচার হবে। 

বিএনপি-জামাতকে এদেশের জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না উল্লেখ করে ইপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের অরাজকতার কথা এদেশের মানুষ কখনো ভোলে নাই। কারণ, এদেশের মানুষ জানে, ৭৫'র ১৫ আগস্ট ও ২০০৪'র ২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনা মূলত একই সূত্রে গাঁথা।