বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামে তিনি কী বলতে চেয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, "সুতরাং, স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোনো অস্থিরতা চাই না। আমরা যদি এটি করতে পারি (স্থিতিশীলতা বজায় রাখা) তবে আমাদের সম্পর্কের এই সোনালি অধ্যায় যথার্থ হবে।"
শুক্রবার এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন।
মোমেন বলেন, তিনি জানিয়েছিলেন (ভারত সরকারকে) বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই কিছু 'দুষ্টু লোক' আছে যারা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে এবং 'তিলকে তাল করে'।
তিনি বলেন, "দুই দেশের সরকারেরই দায়িত্ব হবে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি করতে না দেয়া। আমরা যদি তা করতে পারি, তাহলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকবে এবং কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।"
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, "শেখ হাসিনা (ক্ষমতায়) আছেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে।"
তিনি বলেন, "একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সবার জন্যই ভালো। বাংলাদেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।"
মোমেন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ক্ষমতায়) থাকলেই বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকে এবং স্থিতিশীলতা থাকলেই উন্নয়নের যাত্রা নিরবচ্ছিন্ন থাকে।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তাকে যা বলেছিলেন তিনি ভারত সরকারকে ঠিক তাই জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার হিন্দুদের অন্যতম বড় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমেন বলেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে তিনি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :