আনিস তপন: অসহনীয় মাত্রার শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে অংশীজনের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় একথা জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, এটি সফল করতে সকল ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এবিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে। শিশুদের শৈশব থেকেই শব্দসচেতন করে গড়ে তুলতে পাঠ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পাওয়া গেলে দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় শব্দ দূষণ রোধ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক/শ্রমিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। টেলিভিশন, বেতার, প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনামূলক কার্যক্রম চলছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা শব্দদূষণ মুক্ত করতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রকল্পের আওতায় শব্দদূষণ বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :