খালিদ আহমেদ: [২] মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৩] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
[৪] অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
[৫] অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের ১০ মে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বরাবর যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন। ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে অধ্যাপক আকরাম হোসেনের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কথা উল্লেখ করেন অভিযোগকারী শিক্ষার্থী। তবে সেটি বেশিদূর গড়ায়নি।
[৬] সম্প্রতি প্রভাষক নিয়োগে ওই শিক্ষার্থী আবেদন করলে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় নিয়োগে সুপারিশ করেননি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার দুই প্রভাষকের নিয়োগ সুপারিশ স্থগিত করেছে সিন্ডিকেট।
[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে। যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের তদন্ত প্রতিবেদন আলোকে ওই ছাত্রীর নিয়োগের বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে।
[৮] অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের কপি দুটি পড়লে বোঝা যায় যে, ওই শিক্ষার্থী বিচার চায় না, চাকরি চায়। তার চাকরি হলে আর অভিযোগ থাকবে না। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
আপনার মতামত লিখুন :