শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০২২, ০৮:৪১ রাত
আপডেট : ০৪ আগস্ট, ২০২২, ০৮:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষি ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা হবে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা

তৌফিক-ই-ইলাহী

মনজুর এ আজিজ : প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কৃষি ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা হবে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশেও মুক্তিযুদ্ধের মতো সংকট চলছে। তাই সবাইকে এ দুঃসময়ে একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কষ্ট সহ্য করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৌফিক ইলাহী বলেন, নর্থ বেঙ্গলে কয়লা খনি আছে। কিন্তু সেখানে কয়লা তুলতে গিয়ে কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। তাই কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে। মিয়ানমার যে কোম্পানিকে গ্যাস উত্তোলনের কাজ দিয়েছে আমরা তাদের ডেকেছি গ্যাসের কুপ খনন করার জন্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোকেরা এসে নীতিবাক্য শুনাই। কিন্তু তারা যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, কৃষি ও শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্যাসের চাপ সমাধান করতে চাই, বিদ্যুতের লোডশেডিং সমাধান করতে চাই। তবে প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না যে এই মুহূর্তে এসব সমস্যা সমাধান হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, কয়লা, গ্যাস-তেল এসব একই পণ্য। একটার দাম বাড়লে অন্যটার দাম বেড়ে যায়। আমরা এসব পণ্য আমদানি করে থাকি। বিশ্ব বাজারের কারণে একটু সমস্যা হয়েছে আমাদের। এই সংকট মুহূর্ত যে এখনই সমাধান হবে তা বলার মত অবস্থা নেই। 

তিনি বলেন, এই সংকট শুধু বাংলাদেশে না। বিশ্বের অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। হায় হায় শেষ হয়ে যাচ্ছি তা থেকে মুক্ত থাকুন। শিল্প এলাকায় লোডশেডিং হওয়ার কথা নয়। তবে বাসাবাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় হয়তো এটা হচ্ছে, এটা দেখা হচ্ছে। এটা ব্যর্থতা নয়, বলা যায় সমন্বয়ের অভাব। 

দোকানমালিক সমিতির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দোকান, শপিংমল চালু রাখতে সরকার সব সময় বদ্ধপরিকর। ব্যবসা চালিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

এদিকে সরকারের কাছে লো-কস্ট (স্বল্প ব্যয়ে) জ্বালানি চেয়েছে বাংলাদেশের শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। সেই সঙ্গে সরকারের লং-টার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) কয়লাভিত্তিক জ্বালানিতে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। 

জসিম উদ্দিন বলেন, পরিবেশ ধ্বংস না করেও উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি উৎপাদন করা যেতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কয়লা বিদ্যুৎ থেকে জ্বালানির একটা বিরাট অংশের চাহিদা মেটাচ্ছে। 

বাপেক্স-কে (বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ত গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান) আরও শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলো উৎপাদিত গ্যাসের ৩০ শতাংশ পূরণ করলেও ৭০ শতাংশ গ্যাস পাওয়ার কথা বাপেক্স থেকে। কিন্তু আমরা তার উল্টাটা পাচ্ছি। বিদেশি কোম্পানিগুলো দিচ্ছে ৬০ শতাংশের বেশি আর বাপেক্স দিচ্ছে ৩০ শতাংশ। এই গ্যাপকে (পার্থক্য) কমিয়ে আনা দরকার এবং লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে রেশনিং করা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়