মনজুর এ আজিজ: প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে আমাদের যে গ্যাস সংকট চলছে, এটা আমাদের তৈরি না, বরং ইউক্রেন যুদ্ধের খেসারত। যদি এই আকাশচুম্বি দাম না হতো, তাহলে দেশে গ্যাস বিদ্যুতের কোনো অভাব হতো না।
মঙ্গলবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার সাহায্যে মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমদানি কমাতে আমরা সীমিত আকারে গ্যাস, বিদ্যুতের ব্যবহারে জোর দিচ্ছি। আগে যেটা ৫ টাকায় কিনেছি, সেটা এখন ৩০ টাকা। দাম ছয় গুণ বেড়ে গেছে। কয়লার দাম দুই-তিন গুণ বেড়েছে। এগুলোর দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এখানে আমাদের হাত নেই। এই দাম যত দিন বেশি থাকবে ততদিন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আমাদের আছে। গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতাও আছে। এখন যে মূল চ্যালেঞ্জ সেটা হলো, আকাশচুম্বি দাম। আমাদের আয়ের মধ্যে থাকতে হবে। আমরা তো ইউরোপ না। তাই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো রকম বেআইনি কিছু থাকতে পারবে না।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আপনাদের সহযোগিতার হাতকে শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা না থাকার কারণে আগে কারও নাম বলা হতো না। এখন কেউ করলে আমরা তাদের চিহ্নিত করব। অবৈধ কোনো গ্যাস সংযোগ আপনারা বরদাশত করবেন না। তিতাসকে আপনারা সাহায্য করবেন। অবৈধ সংযোগ যদি আমরা কমাতে পারি তাহলে যে পরিমাণ গ্যাস আছে, তা বৈধ ব্যবহারকারীরা একটু বেশি পাবেন।
আমাদের মূল কাজ শিল্প ও কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাড়ির কাছে একটু জায়গা থাকলে সেখানে কিছু লাগাও। আমরা সবটুকু জায়গা যদি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের অনেক খাওয়া পরার ব্যবস্থা হবে।
এখন আমরা খাদ্যশস্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বড় বিপদ আমাদের ওপর আসবে না। সামর্থ্য যদি ভালোভাবে ব্যবহার করি তাহলে কৃষিশিল্প বেঁচে থাকবে এবং আমরা আরও উন্নয়ন করতে পারব। কারণ গ্যাসের দাম বেড়েছে, এটা কতদিন থাকবে আমরা কেউ বলতে পারব না।
আপনার মতামত লিখুন :